ঈদের আগে কোনো পোশাক কারখানা লে অফ বা শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে এ কথা বলেছেন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, যেসব শ্রমিক ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেছেন তারা পূর্ণ বেতন-ভাতা, আর যারা কাজ করতে পারেননি, তারা ৬০ শতাংশ বেতন ভাতা পাবেন। এ সময়, শ্রমিকদের জোর করে কারখানায় আনার অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন প্রতিমন্ত্রী। একদিকে নির্দেশনা না মেনে ঢাকামুখী পোশাক শ্রমিকের ঢল, অন্যদিকে চাকরি ছাটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। এমন বাস্তবতায় বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে বসে শ্রম মন্ত্রনালয়। রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলে ৩ ঘন্টার বেশি। অবশেষে আসে সিদ্ধান্ত। ঈদের আগে কোনভাবেই করা যাবে না শ্রমিক ছাটাই কিংবা লে অফ। যাবে না জোর করে কারখানায় আনাও।
প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান জানান, পোশাক শ্রমিকদের কারোরই দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যারা ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেছেন তারা পাবেন পূর্ন মাসের বেতন সহ ভাতা, আর বাকি রা বেতন-ভাতার ৬০ ভাগ। কর্মস্থলে যোগ দিতে শ্রমজীবী মানুষেরা আজও নৌরুট দিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে এসেছেন।
নৌপুলিশ জানায়, অন্য দিনের মতো আজও শ্রমজীবী মানুষের ঢল নামে ঘাটে। প্রতি ফেরিতে অন্তত আড়াইশ যাত্রী পারাপার হচ্ছে। অনেকে ট্রলারে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। এদেরমধ্যে পোশাক তৈরি শ্রমিকরাই বেশি। তারা বলছেন, চাকরি বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়ে ফেরি, ট্রলার, অটোরিক্সা বা পিকআপ ভ্যান দিয়ে যোগ দিতে হচ্ছে কর্মস্থলে। কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটেও ছিল শ্রমজীবীদের চাপ।