প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো পৃথিবী। বিশ্বের সকল দেশে চলছে হাহাকার। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রগুলোও। বিশ্বের শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র, করোনার ভয়াল থাবায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেশটি। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মৃতদের শেষকৃত্যের জায়গার সংকট দেখা দিয়েছে। বিশ্বে করোনা আক্রান্তের তিন ভাগের এক ভাগই এখন যুক্তরাষ্ট্রে! দেশটিতে এ পর্যন্ত ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৩ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৬১ হাজার ৬৬৮ জন মানুষ।
করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়ার্ল্ডোমিটারের মতে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৪১১ জন। যুক্তরাষ্ট্রের শুধু নিউইয়র্কেই মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৪৭৪ জনের। এই প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৬ হাজার ১৫৮ জন। এরপরই রয়েছে নিউ জার্সি। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৭০ জনের, আক্রান্ত ১ লাখ ১৬ হাজার ২৬৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে প্রাণ গেলো আরও দুই প্রবাসী বাংলাদেশির। এ নিয়ে দেশটির ৫ রাজ্যে গেলো ৪৪ দিনে মৃত্যু হয়েছে ২১৯ জনের। মৃতদের একজন নিউইয়র্কের বাসিন্দা সুজাউর রেজা চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
দু’সপ্তাহ ধরে লং আইল্যান্ড জিউশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সুজাউর রেজার গ্রামের বাড়ি সিলেটে। যুক্তরাষ্ট্রে মারা যাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ২০১ জনই নিউইয়র্কের বাসিন্দা। বাকিরা মিশিগান, নিউজার্সি, মেরিল্যান্ড আর ভার্জিনিয়ার। দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন অনেক বাংলাদেশি। যুক্তরাষ্ট্রের পর এদিন সর্বাধিক মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাজ্য আর ব্রাজিল। তবে ইতালি-স্পেন-ফ্রান্স-যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত। দেশ চারটিতে মৃতের সংখ্যা এক লাখের বেশি। আক্রান্ত প্রায় ৮ লাখ।