বিশেষ প্রতিনিধিঃ লকডাউনে থাকার ব্যপারে প্রশাসন থেকে বার বার সতর্ক করা হলেও রাজধানীর কদমতলি থানার মানুষজন যেন তোয়াক্কাই করছেননা। লকডাউন না মেনে ঘর থেকে বের হয়ে ভিড় জমিয়েছেন বাজারে ও সড়কে।
সরকাররের পক্ষ থেকে করোনার বিস্তার ঠেকাতে ঢাকা লক ডাউন করলে ও তা মানছে না সাধারণ মানুষ। নানা অজুহাতে তারা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে। আজ রমজানের প্রথমদিন রাজধানীর কদমতলীর জনতাবাগে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফুটপাত দখল করে নানা ধরনের ব্যবসা শুরু করছে। এবং ক্রেতাদের সংখ্যা ছিল চেখে পড়ার মত।
এদিকে এলাকাবাসীর জানান,আজ হঠাৎ করে গ্রাম থেকে আসা কিছু ব্যবসায়ীদের দোকান খুলতে দেখা গেছে। এতে করে কদমতলী থানার জনতাবাগ এলাকার মানুষের করোনা ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য গত কিছুদিন আগে জনতাবাগ ৬ নং রোডে করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছিলো এবং উক্ত রোড লকডাউন করা হয়েছিলো। এলাকা বাসী জানান ৬ নং রোড লকডাউন করা হলেও ওই রোডের বাসিন্দারা অন্যদের সাথে বাজারে যাতায়াত করছে প্রতিদিন। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি।
এদিকে কদমতলী থানার জনতাবাগ ও মেরাজনগর এলাকা লোকে লোকারন্ন হয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সবাই যখন লকডাউনে তখন এ দুএলাকার মানুষ রয়েছেন নিত্য কাজে ব্যাস্ত। কেউ মানছেননা লকডাউনে থাকার নির্দেশ। ৬০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব আনোয়ার হোসেন মজুমদারের কার্য্যালয়ের নিচে রোজ জমায়েত করছে হাজার মানুষ। এরা কেউ মানছেননা সামাজিক দুরুত্ব । পাচ্ছেনা করোনার ভয়। এ বিষয়ে কাউন্সিলরের সাথে কথা বলতে চাইলে জানা যায় কাউন্সিলর জনাব আনোয়ার হোসেন মজুমদার বহুদিন যাবৎ শারিরিক ভাবে অসুস্থ। তার অবর্তমানে তার দুই ভাই তার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কিন্তু জনসমাগম কমাতে তাদের পক্ষ হতে কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় নি।
অন্যদিকে ৫৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মেরাজনগর এলাকা। উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব আকাশ কুমার ভৌমিক। তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
এ বিষয় কদমতলি থানা পুলিশ জানান, আমাদের উপস্থিতি টের পেলে পালিয়ে সাধারন মানুষ আমরা চলে গেলে আবার তারা ফিরে আসে। কোন ভাবে সাধারণত মানুষকে ঘরে রাখা যাচ্ছে না। এভাবে যদি দিনকে দিন মানুষ বেরিয়ে পড়ে তবে ঘটতে পারে ভয়াবহতা। তবে কয়েকজন ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আসছে রমজান তাই ঘরে বসে পরিবারের ক্ষুধার্ত মুখ আর দেখতে পারিনা। তাই ঘর থেকে বেরিয়েছি খাবারের সন্ধানে।